গ্লোবাল সামিট ২০২৫: জলবায়ু কর্মে অনন্য সহযোগিতা

গ্লোবাল সামিট ২০২৫: জলবায়ু কর্মে অনন্য সহযোগিতা
একটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী ঘটনায়, ১৫০ টিরও বেশি দেশের নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের জরুরি সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্যারিসে গ্লোবাল সামিট ২০২৫-এ একত্রিত হন। মে ২০ থেকে মে ২৭ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশ্বের নেতারা কার্বন নির্গমন কমানো এবং স্থায়ী উন্নয়ন প্রচারে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, যা একটি অনন্য পর্যায়ের সহযোগিতা এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটায়।
সম্মেলনের প্রধান ফলাফল
- কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্য: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ভারত সহ অনেক দেশ ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের প্রতিশ্রুতি দেয়।
- নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ: সরকার এবং বেসরকারী খাত আগামী দশকে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়।
- গ্লোবাল ক্লাইমেট ফান্ড: উন্নয়নশীল দেশগুলোকে শ্রেণী অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করার জন্য একটি নতুন তহবিল প্রতিষ্ঠিত হয়।
- প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন: কার্বন নির্গমন কার্যকরভাবে শোষণ এবং সংরক্ষণের প্রযুক্তিগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়।
বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া
ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোন সম্মেলনকে গ্লোবাল ক্লাইমেট পলিসির একটি মোড় হিসেবে অভিহিত করেন, বলেন, "এটি একটি ঐতিহাসিক মুহুর্ত যেখানে বিশ্ব একত্রিত হয়েছে আমাদের সন্তানদের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য।"
একইভাবে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুটেরেস সহযোগিতামূলক আত্মাকে প্রশংসা করেন, লক্ষ্য করেন, "আজ এখানে করা প্রতিশ্রুতিগুলো আমাদের সামগ্রিক সংকল্পের প্রতিফলন যে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবেলা করতে এবং আমাদের গ্রহকে রক্ষা করতে চাই।"
পরবর্তী পদক্ষেপ
যখন সম্মেলনটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির চিহ্নিতকারী ছিল, প্রকৃত পরীক্ষা তা সম্মতিকৃত ব্যবস্থাগুলোর বাস্তবায়নে নিহিত। দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় একসাথে কাজ করতে হবে।