গ্লোবাল সামিট ২০২৫: আন্তর্জাতিক সহযোগিতার এক নতুন যুগ

ইতিহাসের এক অনন্য পদক্ষেপ হিসেবে, ১৫০ টিরও বেশি দেশের নেতারা জেনেভায় গ্লোবাল সামিট ২০২৫ এ একত্রিত হয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বৈশ্বিক শান্তির দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মে ২০-২৫ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও আঞ্চলিক সংঘর্ষ সহ গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যাগুলি মোকাবেলা করা।
মূল চুক্তি ও প্রস্তাবনা
সম্মেলনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেগুলি হল:
- জেনেভা ক্লাইমেট প্যাক্ট: ২০৩৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন ৫০% কমানোর একটি সম্পূর্ণ চুক্তি।
- অর্থনৈতিক সমতা উদ্যোগ: উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক গ্যাপ মেটানোর জন্য সহযোগিতামূলক অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি।
- শান্তি চুক্তি: বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সংঘর্ষ কার্যকর উপায়ে সমাধানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পরিকল্পনা।
নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, মারি লেক্লের, সম্মেলনকে 'বৈশ্বিক কূটনীতির এক যুগান্তকারী মুহূর্ত' হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় সামগ্রিক কর্মের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। একইভাবে, জাতিসংঘের মহাসচিব, অ্যান্টোনিও গুটেরেস, সহযোগিতামূলক আত্মাকে প্রশংসা করেছেন, তিনি বলেছেন, 'এই সম্মেলন দেখিয়েছে যে জাতিগুলি একত্রিত হলে আমরা অসম্ভবকেও অর্জন করতে পারি।'
জনগণের প্রতিক্রিয়া
জনগণের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ইতিবাচক, অনেকেই এটিকে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশার প্রতীক হিসেবে দেখছেন। পরিবেশবাদী ও অর্থনীতিবিদরা সম্মেলনের ফলাফলকে প্রশংসা করেছেন, এই চুক্তিগুলি একটি স্থায়ী ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্বের দিকে পথ প্রদর্শন করতে পারে বলে মনে করেছেন।
ভবিষ্যতের দৃষ্টিতে
সম্মেলন শেষ হলেও, কাজ আরও কিছুদিন পর্যন্ত শেষ হবে না। এই চুক্তিগুলি বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত অংশগ্রহণকারী দেশের অবিরাম সহযোগিতা ও অঙ্গীকার প্রয়োজন। পরবর্তী গ্লোবাল সামিট, ২০২৭ সালে অনুষ্ঠিত হবে, যাতে অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হবে এবং নতুন চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করা হবে।