২০২৫ জলবায়ু পরিবর্তনের মাইলফলক: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মধ্যে অগ্রগতি ও বাধা

২০২৫ সালের মধ্যবর্তী পর্যায়ে থাকাকালীন, বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট একটি জরুরি বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে, যেখানে নাটকীয় অগ্রগতি এবং ভয়াবহ প্রতিকূলতা উভয়ই দেখা গেছে। এই বছরটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব চিহ্নিত করে।

বৈশ্বিক উদ্যোগ এবং প্রযুক্তিগত উন্নতি

কিছু দেশ নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলি গ্রহণ করতে এগিয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা বন্ধ করার জন্য কঠোর বিধিনিষেধ চালু করেছে, যখন চীন সৌর এবং বায়ু শক্তিতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে। কার্বন শোষণ এবং সঞ্চয় (CCS) এবং ইলেকট্রিক ভেহিকেলস (EVs) এর মতো প্রযুক্তিগত নবপ্রবর্তনগুলি আরও বেশি মেইনস্ট্রিম হয়ে উঠছে।

চ্যালেঞ্জ এবং পরিবেশগত উদ্বেগ

এই উন্নতির পরও, ২০২৫ সালে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জও দেখা গেছে। উচ্চ সমুদ্রের স্তর উপকূলীয় শহরগুলিকে হুমকির মুখে ফেলে রেখেছে, এবং হারিকেন এবং অগ্নিকাণ্ডের মতো উগ্র আবহাওয়ার ঘটনাগুলি তাদের ঘনত্ব এবং তীব্রতায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাজন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পারিপার্শ্বিক ব্যবস্থায় চলমান বনবিনাশ আরও সমস্যাকে উদ্দীপিত করছে।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং নীতি পরিবর্তন

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্যারিস চুক্তি এখনও বৈশ্বিক জলবায়ু নীতির একটি কর্ণফলক হিসেবে রয়ে গেছে, যেখানে জাতিগুলি তাদের জাতীয় নির্ধারিত অবদান (NDCs) প্রতি কাজ করছে। তবে, কিছু প্রধান দূষকদের অবহেলা অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করে রয়েছে।

জনসচেতনতা এবং কর্মীবাদ

জনসচেতনতা এবং কর্মীবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে, ফ্রাইডেস ফর ফিউচার এবং এক্সটিংশন রেবেলিয়নের মতো আন্দোলনগুলি প্রভাব বিস্তার করেছে। গ্রেটা থুনবার্গ এর মতো ব্যক্তিত্বের দ্বারা অনুপ্রাণিত তরুণ কর্মীরা সরকার এবং কর্পোরেশন থেকে জরুরি কর্মের দাবি জানাচ্ছে।

এগিয়ে যাওয়া

এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, সমন্বিত এবং সমন্বিত কর্মের প্রয়োজন এখনও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। আসন্ন COP30 সম্মেলন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নতুন লক্ষ্য এবং কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হবে।